চকরিয়া উপজেলার বদরখালী কলোনিজেশন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এমপি মমতাজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে টিকিট বিক্রির প্রায় ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে আয়োজক কমিটির কতিপয় সদস্যদের বিরুদ্ধে। অনুষ্ঠানের পরও লভাংশের টাকা আয়োজক কমিটির অপরাপর অংশিদারদের মাঝে বন্টন না করার জেরে এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বদরখালী বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বঞ্চিতরা। এ ঘটনায় বদরখালী জনপদে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, প্রশাসনের বিনা অনুমতিতে গত ২ এপ্রিল স্থানীয় বদরখালী কলোনীজেশন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বদরখালী সাংস্কৃতিক জোট নামের একটি সংগঠনের শিল্পী মমতাজ বেগম এমপিকে নিয়ে একটি সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানটির আয়োজকদের মধ্যে ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা নুরে হাবিব তছলিম, তার ভাই নুরে হাছান আজাদ, স্থানীয় শাসকদলের কর্মী মহি উদ্দিন এমিলী, আবছার উদ্দিন বাতেন ভুট্টো, কফিল উদ্দিন মোঃ জাহাঙ্গীর ও যুবলীগ নেতা ইউনুছ ছিদ্দিকী সহ স্থানীয় ২৯০ জন শেয়ারহোল্ডার।
বঞ্চিত শেয়ার হোল্ডাররা জানিয়েছেন, অনুষ্ঠান আয়োজনের নামে তাদের প্রতিজনের কাছ থেকে প্রতি শেয়ারে ৫ হাজার টাকা করে সর্বমোট ১৪ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। অনুষ্ঠান শেষে লভাংশ্য বিতরণের জন্য গতকাল ৫ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে চুড়ান্ত হিসাবের বৈঠকে বসে আয়োজক কমিটির সংশ্লিষ্টরা। ওই সময় হিসাবে তাদেরকে (বঞ্চিত শেয়ার হোল্ডার) মুল টাকা ছাড়াও আরো অতিরিক্ত টাকা লোকসান সেখান অভিযুক্তরা।
শেয়ার হোল্ডাররা দাবি করেছেন, অনুষ্ঠানটির স্পন্সর হিসেবে ইউরো কোমল পানীয় কোম্পানী শিল্পী মমতাজের সকল খরচ বহন করে। কিন্তু তারপরও আয়োজক কমিটির সংশ্লিষ্ট সংগ্রহ করা টাকা ও টিকিট বিক্রির প্রায় ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের জন্য হিসাবের ক্ষেত্রে গোজামিল করেছে।
বৈঠক থেকে তাৎক্ষনিক উঠে গিয়ে বিক্ষুদ্ধ শেয়ার হোল্ডাররা এত টাকা কোথায় গেলো? আত্মসাত করা আমাদের টাকা ফেরত চাই এমন দাবিতে রাতে বদরখালী বাজারে মিছিল বের করে আন্দোলনের ঘোষনা দেন। এ বিষয়ে অন্যতম উদ্দোক্তা আবছার উদ্দিন বাতেন ভুট্টো বলেন, মিছিল হয়েছে বলে আমার জানা নাই , আর অনুষ্টানের হিসাবতো হয়নি আগামীকাল হবে।
পাঠকের মতামত: